বর বিছানায় সহবাসে সক্ষম কিনা পরীক্ষা দিতে হয় কোন আত্মীয়দের কাছে
ইসলামে হালাল আয় অর্জনের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, এবং তা হতে হবে ন্যায্য ও নৈতিক পদ্ধতিতে। একজন মুসলিমের জন্য ইনকাম হালাল হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হালাল উপার্জন শুধুমাত্র ইহকালেই নয়, পরকালেও সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এখানে হালাল আয় অর্জনের কিছু মূলনীতি আলোচনা করা হলো:
১. ন্যায্য ও বৈধ উপায়ে উপার্জন করা:
আপনার আয়-উপার্জনের মাধ্যমটি অবশ্যই ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ হতে হবে। যে কাজ বা পেশা মানুষকে প্রতারণা, মিথ্যা, চুরি, ঘুষ বা কোনো হারাম কাজের সাথে জড়িত করে, তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২. সুদ ও জুয়া থেকে দূরে থাকা:
ইসলামে সুদ (রিবা) এবং জুয়া (মাইসির) সম্পূর্ণ হারাম। তাই যেকোনো সুদভিত্তিক ব্যবসা বা আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকা জরুরি। তাছাড়া, জুয়া এবং এ সম্পর্কিত যেকোনো ধরনের আয় হারাম হিসেবে বিবেচিত।
৩. পরিশ্রম ও দক্ষতা দ্বারা আয় করা:
ইসলামে কঠোর পরিশ্রমকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নিজের শ্রম এবং দক্ষতার মাধ্যমে আয়-রোজগার করা হালাল হিসেবে গণ্য হয়। কোনো ধরনের অবৈধ সুবিধা বা সহজ আয়ের পথ অবলম্বন করা ঠিক নয়।
৪. চুক্তি ও প্রতিশ্রুতি পূরণ করা:
ব্যবসা বা পেশার ক্ষেত্রে চুক্তি, প্রতিশ্রুতি ও ন্যায়বিচারের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। কোনো প্রকার প্রতারণা, মিথ্যাচার বা অন্যায় করে উপার্জন করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
৫. সম্পদ নষ্ট না করা:
ইসলামে অপব্যয় করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়-উপার্জনের ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পদকে নষ্ট না করা উচিত।
৬. ব্যবসায় নৈতিকতা রক্ষা করা:
ব্যবসায়িক কাজে সততা, নির্ভরযোগ্যতা, এবং ন্যায়বিচার রক্ষা করা আবশ্যক। প্রতারণা, ওজনে কম দেওয়া, ভেজাল পণ্য বিক্রি করা ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।
৭. হারাম থেকে বেঁচে থাকা:
যে কোনো ধরনের হারাম পণ্য বা সেবা (যেমন: মদ, মাদকদ্রব্য, বা অবৈধ বিনোদন) এর ব্যবসা বা ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে একজন মানুষ হালাল পর্যায়ে ইনকাম করতে সক্ষম হবে এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে।